শিরোনাম:
●   আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক ●   বামপন্থী আন্দোলনের প্রবীণ নেতা রণোর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক ●   উপজেলা নির্বাচনের সাথে স্থানীয় পর্যায়ে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোন সম্পর্ক নেই ●   ধারাবাহিক কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জনগণকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ●   রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হটকারি ও মানুষের উপর নতুন অত্যাচারের সামিল ●   কাপ্তাই লেকে বেআইনী অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা দেড় বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি ●   মহান মে দিবস ও শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম ●   সব জিনিসের দাম বাড়লেও কমেছে শ্রমিকের দাম ●   ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বলুন ●   কাপ্তাই হ্রদের চারটি উপকেন্দ্র থেকে সাড়ে ১৫ কোটির উর্ধ্বে শুল্ক আয় করেছে বিএফডিসি
ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Kaler Dabi – কালের দাবী – Online News Portal in Bangladesh
বুধবার ● ৩ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » বিশ্ব বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ প্রধান ধর্মীয় উৎসব এবং জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক ভেসাক-দিবস “বুদ্ধ পূর্ণিমা”
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » বিশ্ব বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ প্রধান ধর্মীয় উৎসব এবং জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক ভেসাক-দিবস “বুদ্ধ পূর্ণিমা”
৩৪২ বার পঠিত
বুধবার ● ৩ মে ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্ব বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ প্রধান ধর্মীয় উৎসব এবং জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক ভেসাক-দিবস “বুদ্ধ পূর্ণিমা”

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত নির্মল বড়ুয়া মিলন :: বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক সাম্য, মৈত্রী ও মানবতার গৌবরময় প্রতীক মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বিশ্ব বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ প্রধান ধর্মীয় উৎসব এবং জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক ভেসাক-দিবস শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (বুদ্ধ জয়ন্তী) এবার পালিত হবে ২৫৬৭ উপলক্ষে বিশ্বশান্তি কামনায় “বুদ্ধ পূর্ণিমা”।
বুদ্ধ পূর্ণিমা মুলতঃ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমা দিবসে মহামানব বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল বলে দিনটি ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ নামে খ্যাত।
খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এ দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে জগতে বুদ্ধ নামে খ্যাত হন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্য দিয়েই জগতে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়।
বৌদ্ধ সাহিত্য ও সুকোম বড়ুয়ার লেখা থেকে জানা যায় যে, পূর্বজন্মে বোধিসত্ত্ব সকল পারমি পূরণ করে সন্তোষকুমার নামে যখন স্বর্গে অবস্থান করছিলেন, তখন দেবগণ তাঁকে জগতের মুক্তি এবং দেবতা ও মানুষের নির্বাণ পথের সন্ধান দানের জন্য মনুষ্যকুলে জন্ম নিতে অনুরোধ করেন। দেবতাদের অনুরোধে বোধিসত্ত্ব সর্বদিক বিবেচনাপূর্বক এক আষাঢ়ী পূর্ণিমায় স্বপ্নযোগে মাতৃকুক্ষিতে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী এক শুভ বৈশাখী পূর্ণিমায় জন্মলাভ করেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল লুম্বিনী কাননের শালবৃক্ষ ছায়ায় উন্মুক্ত আকাশতলে। তাঁর নিকট জাতি, শ্রেণি ও গোত্রের কোনো ভেদাভেদ ছিল না। তিনি মানুষকে মানুষ এবং প্রাণীকে প্রাণিরূপেই জানতেন এবং সব প্রাণসত্তার মধ্যেই যে কষ্টবোধ আছে তা তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতেন। তাই তিনি বলেছিলেন ‘সবেব সত্তা ভবন্তু সুখীতত্তা’ জগতের সব প্রাণী সুখী হোক। এই মর্মচেতনা জাগ্রত করা এবং এই পরম সত্য জানার জন্য তিনি ২৯ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করেন। সত্যের সন্ধানে পরিভ্রমণ করতে করতে এক সময় তিনি গয়ার উরুবেলায় (বুদ্ধগয়া) গিয়ে নিবিষ্টচিত্তে সাধনামগ্ন হন। দীর্ঘ ছয় বছর অবিরাম সাধনায় তিনি লাভ করেন সম্যক সম্বুদ্ধ বা বুদ্ধত্ব। সেদিনও ছিল বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি।
বুদ্ধত্ব লাভের পর বুদ্ধদেব জীবের মুক্তি কামনায় ‘ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র’ নামে জীবনের সর্ববিধ ক্লেশ থেকে মুক্তির উপায় আবিষ্কার করেন। তিনি চতুরার্যসত্য নামে খ্যাত এক তত্ত্বে জীবনে দুঃখের উৎপত্তি ও দুঃখভোগের কারণ এবং দুঃখ থেকে মুক্তির পথ নির্দেশ করেন। মুক্তির এই পথনির্দেশনাকে বলা হয় আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ বা আটটি আর্যপথ। দীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছর তিনি প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণ করে তাঁর এই ধর্মতত্ত্ব প্রচার করেন। রাজা-প্রজা, ধনী-নির্ধন, কুলীন-অন্ত্যজ সর্বশ্রেণীর মানুষের নিকট মুক্তির কথা তুলে ধরে তিনি জগতে এক নতুন ধর্মাদর্শ প্রতিষ্ঠা করেন। আশি বছর বয়সে হিরণ্যবতী নদীর তীরে কুশিনারার মল্লদের শালবনে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগপূর্বক তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন।এই মহাপরিনির্বাণ লাভের ক্ষণও ছিল বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে বৌদ্ধরা বুদ্ধপূজাসহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা এবং নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তারা বুদ্ধানুস্মৃতি ও সংঘানুস্মৃতি ভাবনা করে। বিবিধ পূজা ও আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিবিধ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। বৌদ্ধ বিহারগুলিতে বুদ্ধের মহাজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাসহ ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মীয় শিশু- কিশোরদের ধর্মীয় দৈনন্দীনে প্রার্থনা বিষয়ক বন্দনা প্রতিযোগিতা (প্রাত্যহিক বন্দনার আবৃত্তি) এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যেও নানা উৎসবমুখর আনুষ্ঠানিকতার ধুম পড়ে যায়। এই পূর্ণিমাকে ঘিরে অনেক বৌদ্ধবিহারে চলে তিনদিনব্যাপী নানামুখী অনুষ্ঠান।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১৯৯৯ সালের ৫৪/১১৫এর রেজুলেশনের মাধ্যমে, বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মগুলির মধ্যে একটি বৌদ্ধ ধর্ম আড়াই সহস্রাব্দেরও বেশি সময় ধরে যে অবদান রেখেছে এবং তা অব্যাহত রেখেছে তা স্বীকার করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ভেসাক দিবসকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মানবতার আধ্যাত্মিকতা। এই দিবসটি প্রতি বছর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এবং অন্যান্য জাতিসংঘের অফিসে, সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের অফিস এবং স্থায়ী মিশনের সাথে পরামর্শ করে স্মরণ করা হয়। জাতিসংঘ দপ্তরিকভাবে বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ভেসাক-ডে নামে অভহিত করেছেন।
বুদ্ধের শিক্ষা, এবং তাঁর করুণা, শান্তি ও শুভেচ্ছার বাণী লক্ষ লক্ষ মানুষকে আন্দোলিত করেছে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করে এবং ভেসাকের দিনে জন্ম, জ্ঞান অর্জন এবং বুদ্ধের মৃত্যুকে স্মরণ করে।
১৯৮৬ সালের মে মাসে ভেসাক দিবসে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে প্রাক্তন মহাসচিব, জাভিয়ের পেরেজ ডি কুয়েলারের বার্তাটি : তিনি বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য সর্বত্র এটি সত্যিই একটি আনন্দের সুযোগ, গুয়াতাম বুদ্ধের জন্ম, জ্ঞানার্জন এবং মৃত্যুকে স্মরণ করার সময়, মানবতার সেবায় তাঁর করুণা ও ভক্তির বার্তা উদযাপন করার জন্য। এই বার্তাটি আজ সম্ভবত আগের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক।”
শান্তি, বোঝাপড়া এবং মানবতার একটি দৃষ্টিভঙ্গি যা জাতীয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক পার্থক্যকে ছাড়িয়ে যায় যদি আমরা পারমাণবিক যুগের জটিলতার সাথে মোকাবিলা করতে চাই।
এই দর্শনটি জাতিসংঘের সনদের কেন্দ্রে রয়েছে এবং আমাদের সমস্ত চিন্তাধারায় বিশিষ্ট হওয়া উচিত, বিশেষ করে শান্তির এই আন্তর্জাতিক বছরে” - জাভিয়ের পেরেজ ডি কুয়েলার।

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উলপক্ষে রাষ্ট্রপতি —- এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়ে থাকেন। বাণীতে তারা বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে থাকেন।
গত বছর ২০২২ (২৫৬৬ বুদ্ধব্দ) শুভেচ্ছা বানীতে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব। মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। মহামতি বুদ্ধ ছিলেন জীবের মঙ্গল কামনায় সত্যসন্ধ। পৃথিবীকে সুখী ও শান্তিপূর্ণ করে গড়ে তোলার জন্য তিনি নিরন্তর প্রয়াস চালান। বুদ্ধের চেতনায় ছিল দুঃখ জয়ের মাধ্যমে জীবের মুক্তি কামনা।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। বুদ্ধ সত্য ও সুন্দরের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবজগতকে আলোকিত করতে কাজ করে গেছেন। মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার জীবনাদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
বৈশাখ মাসের এ পূর্ণিমায় মহামানব বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল বলে দিনটি ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ নামে খ্যাত।
এবছর দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাঙামাটিসহ সমগ্রবিশ্বে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় বৌদ্ধ বিহার ও বিভিন্ন শাখা বিহারগুলোতে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ এই পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ বুদ্ধত্ব লাভ এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ রাঙামাটি পৌরসভা ও সদর উপজেলা শাখা কর্তৃক গঠিত ২৫৬৭ বুদ্বাব্দ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক শীলজ্যোতি থের জানান, বৌদ্ধ র্ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, রাঙামাটি ও পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের উদ্যোগে রাঙামাটি পৌর এলাকার বিভিন্ন বিহারের অধ্যক্ষ ও দায়ক-দায়িকাদের অংশগ্রহণে ৪ মে-২০২৩, ২১ বৈশাখ-১৪৩০ বঙ্গাব্দ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাঙামাটি সরকারী কলেজ মাঠ থেকে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা শোভাযাত্রা শুরু হয়ে মৈত্রী বিহার প্রঙ্গনে গিয়ে শেষ হবে। বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভা যাত্রায় রঙ-বেরঙের বৌদ্ধ পতাকা হাতে নিয়ে পুণ্যার্থী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষ অংশ গ্রহন করবেন।
বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভা যাত্রা শেষে সকাল ৯টায় ধর্মীয় আলোচনা রয়েছে।
এবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি শ্রদ্ধালংকার মহাথের ও পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের সহ সভাপতি ছাবা বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শুভদর্শী মহাথের।
এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট রাঙামাটির ট্রাস্টি জয় সেন তঞ্চঙ্গ্যাসহ শহরের বিভিন্ন বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ ও দায়ক দায়িকারা উপস্থিত থাকবেন বলে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক শীলজ্যোতি থের জানান ।
এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা এই বুদ্ধ পূর্ণিমার মধ্য দিয়ে সকল প্রকার লোভ, হিংসা, মোহ সংঘাতসহ যাবতীয় খারাপ কাজ পরিহার করে সৎ পথে চলতে ও মৈত্রীপূর্ণ মনোভাব নিয়ে একে অপরে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার হিতোপদেশ দেয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধ স্নান, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শান্তি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সমবেত প্রার্থনা, সদ্ধর্ম আলোচনা সভা ও বুদ্ধ পূজা, পিন্ডদান, প্রাতঃরাশ, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান ও বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিশ্বশান্তি কামনায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বল তিনদিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত হবে। এসময় পৃথিবীর মানব জাতির শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে এ দিনে সাধারণ সরকারি ছুটি থাকবে। রেডিও, টেলিভিশনে প্রচার করা হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। দৈনিক সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা কিংবা ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। বিভিন্ন বিহার ও সংগঠন কর্তৃক স্মরণিকা, ম্যাগাজিন ও স্মারকগ্রন্থও প্রকাশ করা হবে। “বুদ্ধের শাসন চিরজীবি হোক”
লেখক : নির্মল বড়ুয়া মিলন
৩০এপ্রিল-২০২৩
রাঙামাটি।





আর্কাইভ