শিরোনাম:
●   আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক ●   বামপন্থী আন্দোলনের প্রবীণ নেতা রণোর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক ●   উপজেলা নির্বাচনের সাথে স্থানীয় পর্যায়ে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোন সম্পর্ক নেই ●   ধারাবাহিক কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জনগণকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ●   রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হটকারি ও মানুষের উপর নতুন অত্যাচারের সামিল ●   কাপ্তাই লেকে বেআইনী অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা দেড় বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি ●   মহান মে দিবস ও শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম ●   সব জিনিসের দাম বাড়লেও কমেছে শ্রমিকের দাম ●   ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বলুন ●   কাপ্তাই হ্রদের চারটি উপকেন্দ্র থেকে সাড়ে ১৫ কোটির উর্ধ্বে শুল্ক আয় করেছে বিএফডিসি
ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Kaler Dabi – কালের দাবী – Online News Portal in Bangladesh
বুধবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » অর্থবাণিজ্য » রাঙামাটিতে নিত্যপণ্যের পাগলা ঘোড়া লাগামহীন ভাবে চলছে : স্বস্তিতে নেই ক্রেতারা
প্রথম পাতা » অর্থবাণিজ্য » রাঙামাটিতে নিত্যপণ্যের পাগলা ঘোড়া লাগামহীন ভাবে চলছে : স্বস্তিতে নেই ক্রেতারা
২৮৫ বার পঠিত
বুধবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাঙামাটিতে নিত্যপণ্যের পাগলা ঘোড়া লাগামহীন ভাবে চলছে : স্বস্তিতে নেই ক্রেতারা

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত নির্মল বড়ুয়া মিলন :: রাঙামাটি শহরের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মাংস। ৩০ টাকায় মিলছে প্রায় সবজি। কাঁচা মরিচের ঝাল একটু বেশি। পেঁয়াজের বাজারেও কিছুটা স্বস্থি ফিরেছে। আর চালের বাজারও চড়া। সবমিলিয়ে নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্থিতে নেই ক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকজনই পড়েছেন বেশি বিপাকে। রাঙামাটি শহরের রিজার্ভবাজার, তবলছড়ি, কলেজ গেইট ও বনরুপা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রয় হচ্ছে শীতকালিন সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। কাঁচা মরিচ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৬০ টাকায়। যেখানে গত সপ্তাহে দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। একই ভাবে বাজারের বিভিন্ন ধরনের সবজি থাকলেও সবধরনের সবজির দামই কিছুটা কমেছে।
শহরের বনরুপা বাজারে প্রতি কেজি ইরি মোটা চাউল ৪৫-৫০ টাকা, ২৮ মিনিকেট চাউল ৭০ টাকা, ২৯ মিনিকেট ৬৫ টাকা, কাটারী ভোগ ৯০ টাকা, সিদ্ধ ৫৮ টাকা, বাসমতি ৭৫ টাকা, পোলাও চাউল ১৪৫ টাকা, চিনি ১১২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকা, চায়না রসুন ১৮০ টাকা, দেশী আদা ১০০-১৬০ টাকা, মুসারির ডাউল ১০০-১২০ টাকা, হুইল পাউডার ১৪০ টাকা, জিরা ৬৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০ টাকা, লবংঙ্গ ১৫০০ টাকা, কিসমিস ৫০০-৩৫০ টাকা,গুড়া দুধ ৯০০-৭০০ টাকা, ১০০ গ্রাম লাক্স সাবান ৬০ টাকা, ৩৫ টাকার টিসু পেপার ১মাসের ব্যবধানে ৫৮ টাকা, প্রতি লিটার সোয়াবিন তৈল ১৮৭ টাকা, ডালডা ১৮০ টাকা, ১নং বাঘাবাড়ি ঘি ১১০০ টাকা ধরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
এবিষয়ে রামভান্ডার ষ্টোর এর মালিক আশু চৌধুরী বলেন,পাইকারি বাজারে দাম বেশি। তাই তার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও । প্রতিনিয়ত পাইকারি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এই ব্যবসায়ী জানান ৩ মাসের ভিতর অস্বভাবিক হারে বৃদ্ধি হয়েছে জিরা,লং, শুকনা মরিচ ও কিসমিসের দাম। নিত্যপণ্যের দাম কেন এত বৃদ্ধি করা হয়েছে জানতে চাইলে, রামভান্ডার ষ্টোর এর মালিক আশু চৌধুরী বলেন, গাড়িভাড়া বেশী, কোম্পানী গুলো বলছে উৎপাদন খরচ বেশী ইত্যাদি এসব কারণে বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দামের পাগলা ঘোড়ার মত লাগামহীন ভাবে চলছে।
বাজারে আসা প্রতিকেজি ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, ক্ষিরা ৩০ টাকা, থিতকরলা ১২০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ডেড়শ ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, লাল আলু ৩০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চারটি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। কাঁকরোল, ধুন্দুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। সাদা মাসরুম ২৪০ টাকা, কালো মাসরুম ২৮০ টাকা, এক হালি লেবু ১০ টাকা করে প্রতি আটি লালশাক, পুঁইশাক, লাউয়ের ডগাসহ বিভিন্ন প্রকারের শাক ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৯০০-১১০০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, দেশী মুরগী ৪৮০ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা, কক ২৭০ টাকা, হাঁস ২০০ টাকা, ছ্যাকা লেয়ার মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশী ছ্যাকা মুরগি ৬৫০ টাকা, শুকরের মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা এবং দেশী মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৮০ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা, লাল ডিম ১৪০ ও সাদা ডিম ১৩০ টাকা দরে মিলছে।
প্রতি কেজি ছরী শুটকি বড় সাইজ ১৩০০ টাকা, মাঝারী সাইজ ১২০০ টাকা, ছোট সাইজ ১০০০ টাকা, একেবারে ছোট ৪৫০ টাকা, লইট্টা শুটকি ৮০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি শুটকি ১৭০০ থেকে ১২০০ টাকা, হাঙ্গর শুটকি ৪৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও শুকনা নুনা ইলিশ প্রতিটি ৪৫০ থেকে ৪০০ টাকা ধরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই কাপ্তাই হৃদের প্রতি কেজি চাপিলা ৩০০ থেকে ১২০ টাকা, কাছকি ৪০০ টাকা, বড় রুই ৮০০ টাকা, ছোট রুই ৪০০ টাকা, বড় কাতাল ৬৫০ টাকা, ছোট কাতাল ৩৫০ টাকা, আইড় মাছ ৯০০ থেকে ৬০০ টাকা, কালো বাউস ৯০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাছামাছ ৮০০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা ও ফলাই মাছ ৩০০ থেকে ২৮০ টাকা, সাগরের রুপচাঁদা ৭০০ থেকে ৫০০ টাকা, কোরাল ৬০০ টাকা, মাঝারি বাগদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, ছোট বাগদা চিংড়ি ৬০০ টাকা, বড় গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, ছোট গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকা ও হরিণা মাছ ৬০০ টাকা ধরে দাম হাকছে।
ফলের বাজারে আপেল প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, আপেল কুল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বল সুন্দরী কুল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মোসাম্মি ২২০ টাকা, কমলা ২২০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ২৫০ টাকা ও ডালিম ৩২০ থেকে ২৮০ টাকা ধরে পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে স্বস্তি মিলছে না রসুনের দামেও। দেশি রসুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। আমদানি করা বড় আকারের ভারতীয় বা চায়না রসুন কেজির জন্যেও গুনতে হচ্ছে ১৮০ টাকা।
তবে ক্রেতারা স্বস্তিতে আছে শিতকালীন সবজি বাজারে, দাম অনেক কম। বাজার মোটেও স্থিতিশীল নেই মাছ ও মাংস, মুরগি ও ডিমের দামে। তবে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের দাম বাড়ায় চালের দাম বেড়েছে। বাজার স্থিতিশীল করতে হলে চাল আমদানি প্রয়োজন।





অর্থবাণিজ্য এর আরও খবর

সাতক্ষীরায় ভাসমান দোকান উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বিক্ষোভ সাতক্ষীরায় ভাসমান দোকান উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বিক্ষোভ
চিনিকলে এক কেজি চিনির উৎপাদন খরচ ১২৩ মিলিগেটে বিক্রি ৬৩ চিনিকলে এক কেজি চিনির উৎপাদন খরচ ১২৩ মিলিগেটে বিক্রি ৬৩
যৌথ বিবৃতি : করোনা মহামারী দূর্যোগে গ্রামাঞ্চলে এনজিওদের কিস্তি আদায়ে বাডাবাডি বন্ধ করুন যৌথ বিবৃতি : করোনা মহামারী দূর্যোগে গ্রামাঞ্চলে এনজিওদের কিস্তি আদায়ে বাডাবাডি বন্ধ করুন
কৃষক ও খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের সভায় বাজেট প্রত্যাখান কৃষক ও খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের সভায় বাজেট প্রত্যাখান
কৃষির পুনরুজ্জীবন কৃষি ও গ্রামীণ খাতে মনোযোগ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করুন কৃষির পুনরুজ্জীবন কৃষি ও গ্রামীণ খাতে মনোযোগ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করুন
বাজেট প্রত্যাহার করুন ও জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী ঢেলে সাজান বাজেট প্রত্যাহার করুন ও জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী ঢেলে সাজান
আগামী কাল বাজেট সম্পর্কে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদ আগামী কাল বাজেট সম্পর্কে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদ
ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট প্রত্যাহার করে জনকল্যাণে বাজেটকে ঢেলে সাজান ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট প্রত্যাহার করে জনকল্যাণে বাজেটকে ঢেলে সাজান
সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেও বাজেট সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেনি সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেও বাজেট সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেনি

আর্কাইভ